
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিদ্ধিরগঞ্জে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ২৯শে অক্টোবর রাতে গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা করলে রাতেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তরা সিদ্ধিরগঞ্জ কদমতলী গ্যাসলাইন এলাকার হাজী হুমায়ুন কবিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া ও ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া বলে জানায় ওই কিশোরী।
গ্রেফতারা হলো, ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জের রমজান আলীর ছেলে উজ্জ্বল রানা (২০), একই থানার সাটিয়া এলাকার সাতারুল হোসেনের ছেলে তাজেল ইসলাম (১৬), মৃত বাবুল হাওলাদারের ছেলে মো. জালাল (২১), ভোলা চরফ্যাশন থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আজিজ হাওলাদার ওরফে মিন্টু হাওলাদার (৫৫) এবং তার স্ত্রী বিলকিস হাওলাদার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় ভুক্তভোগী কিশোরকে আসামি জালাল ও বিলকিস হাওলাদার কথা বলার জন্য বিলকিসের ঘরে নিয়ে যায়। এরপর উজ্জ্বল রানা ও তাজেল ইসলামকে রুমে এনে কিশোরীর সঙ্গে রেখে বাইরে চলে যায় বিলকিস ও জালাল। পরে দরজা বন্ধ করে উজ্জ্বল রানা ও তাজেল ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে মিন্টু হাওলাদার, বিলকিস ও জালাল কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখায় যাতে এ ঘটনা কাউকে না বলে।
এজহারে ওই কিশোরীর মা আরও উল্লেখ করে, সে তার স্বামী সন্তানদের নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত উল্লেখিত অভিযুক্তদের সঙ্গে পাশাপাশি কক্ষে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে আসছিলেন। গত ২৮ অক্টোবর তারা ওই বাড়ি ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া নিয়ে চলে আসে।
নির্যাতনের শিকার কিশোরীর মা বলেন, গত বুধবার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষন বুঝতে পারি। তাকে অনেক জোরাজুরির পর এই কথা জানায়৷ এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দেখি ৫ মাসের গর্ভবতী৷ তিনি জানান, আসামিপক্ষ এ ঘটনার মিমাংসা করতে চেয়েছিল। আমি মিমাংসা চাই না, শাস্তি চাই৷
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, এ ঘটনায় গতকাল ওই কিশোরীর মা মামলা দায়ের করলে আমরা অভিযুক্ত ৫ আসামীকে রাতেই গ্রেফতার করেছি।
No posts found.